দুবাইয়ের রাজকুমারী শাইখা মাহরা কতটা বিলাসী

বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর যত জীবিত রাজকুমারীরা আছেন, তাদেরকে নিয়ে যদি একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায় তাহলে রূপ-সৌন্দর্য আর ফ্যাশনে প্রথম স্থান অধিকার করবেন দুবাই আমিরাতের শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা রাজকুমারী শাইখা মাহরা। শাইখা মাহরা ১৯৯৪ সালে দুবাইয়ের রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গ্রাজুয়েশনের ছবি অনুসারে যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ডিগ্রি রয়েছে। তাকে নিয়মিতভাবে দুবাইয়ের চারপাশে ইভেন্টে যোগ দিতে দেখা যায়। রাজকুমারী মাহরা বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য পরিচিত। তিনি বরাবরই তার প্রতিদিনের যাপিত জীবন মানুষকে জানাতে পছন্দ করেন। ফ্যাশন সচেতন মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন নতুন পোশাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি গত বছর শারজাহ এক্সপো সেন্টারে মিডল ইস্ট ঘড়ি এবং জুয়েলারী প্রদর্শনীসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আশেপাশের ইভেন্টগুলিতেও অংশ নেন। ঘোড়া ও গাড়িপ্রীতি রয়েছে এই রাজকন্যার। জানা যায়, তার ব্যয়বহুল অনেক ঘোড়া রয়েছে। যেগুলোর পেছনে বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন তিনি। এছাড়া তার বাড়িতে রয়েছে দুইটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারও। এছাড়াও মাহরা উট এবং বাজপাখিও যে ভীষণ পছন্দ করেন, সেটা তার সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি দেখেই বোঝা যায়। বিলাসী জীবনযাপন ছাড়াও উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার। বর্তমান সময়ে দুবাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিল্ডিং প্রিন্সেস টাওয়ার এর নিচতলায় কন্যা মাহরার জন্য স্পেশাল কমপ্লেক্স করে দিয়েছেন দুবাই আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ

বিন রশিদ আল মাকতুম। যার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। ল্যাম্বরগিনি, ফেরারি, বিএমডব্লিউসহ বিশ্বের নামীদামী গাড়ি তার গ্যারেজে রয়েছে। আয়েশী জীবনে থেকেও মানবিকতা ভুলে যাননি মাহরা। তাকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন মানবিক কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রাজকন্যা শাইখা মাহরা। তার বংশেরই শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেন তিনি।  মোটিভেশনাল উক্তি

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *